গাড়ি কেনার সময় একটু দেখেশুনেই কেনেন সবাই। সেখানে বিভিন্ন রকম যান্ত্রিক নাম লেখা থাকলেও ইঞ্জিনের নামের আগে টার্বো লেখা থাকার কি অর্থ তা অনেকেরই বোঝার উর্দ্ধে। আজকাল অনেক কোম্পানিই তাদের গাড়িতে টার্বো ইঞ্জিন দিতে শুরু করেছে। সে এন্ট্রি লেভেলের হ্যাচব্যক হোক কি প্রিমিয়াম গাড়ি, সর্বত্রই Turbo Engine এর চল বেড়েছে। কিন্তু এই Turbo এবং Non Turbo ইঞ্জিনের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে তাই জানাবো আপনাদের।
প্রথমেই জানিয়ে দিই যে, সাধারণ ইঞ্জিনের থেকে অনেক বেশি শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম Turbo Engine। দুই ধরনের ইঞ্জিনই Internal Combustion Technology এর ওপর কাজ করে।
পার্থক্য কী?
Non Turbo Engine | Turbo Engine |
এক্ষেত্রে বাতাসের উচ্চ চাপের প্রয়োজন নেই | টার্বো ইঞ্জিন উচ্চ চাপ যুক্ত বাতাস দরকার পড়ে |
কম শক্তি উৎপাদন করে | একই আকারের হলেও অনেক বেশি পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে Turbo Engine |
কম পরিমাণ টর্ক উৎপন্ন করে | টর্ক উৎপাদনের পরিমাণও অনেকটাই বেশি |
আকারে বর হওয়ার কারণে অনেক কম পরিমাণ মাইলেজ দেয় | সাধারণত আকারে ছোট হয় তাই মাইলেজ বেশি পাওয়া যায় |
সুবিধা পড়ে নিশ্চয়ই ভাবছেন Turbo Engine তাহলে Better option। জ্বালানি ক্ষমতা থেকে শক্তি, সমস্ত দিকেই এগিয়ে রয়েছে Turbo Engine। কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু খামতি রয়েছে, যা কিনা আপনার পকেটের ওপর ভারী চাপ ফেলতে পারে। সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও দেখে নেওয়া যাক।
টার্বো ইঞ্জিনের অসুবিধা কী কী?
1) প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, টার্বো ইঞ্জিনে একাধিক জটিল পার্টস ব্যবহার করা হয়। এরফলে একবার কোনরকমে ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গেলে তা গাড়ির ওপর বড় প্রভাব ফেলে।
2) Turbo Engine এর Turbocharger এর দাম অনেকখানি বেশী হয়। তাই টার্বো ইঞ্জিন সরিয়ে তোলা খুবই ব্যয়বহুল।
3) সাধারণত মাইলেজ বেশি থাকলেও ঠিকমত থ্রটল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মাইলেজ একদম কমে আসে।
4) জটিল যন্ত্রাংশ থাকার কারণে এবং সেইসাথে বাতাসের উচ্চচাপে কাজ করার জন্য অধিক পরিমাণে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার সারাতে গেলে পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে আপনার!
কাদের জন্য উপযুক্ত Turbo Engine?
Turbo Engine উচ্চ পারফরম্যান্স, টর্ক, হর্সপাওয়ার এবং ভালো মাইলেজ দেয় ঠিকই কিন্তু খরচ সাপেক্ষ। তাই যারা নিত্য যাতায়াতের জন্য গাড়ি কিনছেন তাদের ক্ষেত্রে Non Turbo Engine ই ভালো। শক্তিশালী গাড়ির প্রয়োজন হলে Turbo Engine একদম উপযুক্ত।